বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির ২০২৫-২০২৭ নির্বাচনের স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্যানেল পরিচিতি সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এটি ছাড়াও সামনে আরও কিছু নির্বাচন আছে। আমি সাখাওয়াত টিপুকে বলব। কোন প্যানেলে যদি দোসররা থাকে, সেলিম ওসমানের লোক, শামীম ওসমানের লোক থাকে তাদের বের করে দিয়ে নির্বাচনের চেষ্টা করবেন। আমি দেখছি সাখাওয়াত সাহেব ও টিপু বড় বড় কথা বললেও প্যানেল থেকে কাউকে বের করতে পারছে না। এই প্যানেলে বিএনপির লোক আছে তারা শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের লোকদের নিয়ে নির্বাচন করছে। সাখাওয়াত সাহেবকে নিশ্চয়তা দিতে হবে কোন প্যানেলে সেলিম ওসমানের লোক থাকতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কোথাও নির্বাচন করতে দেয়নি। দেশে এমপিদেরও তারা ভোট ছাড়া এমপি বানিয়েছিল। এখানেও জোর করে প্যানেল পাশ করিয়ে দেয়া হয়েছিল।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শহরের দেওভোগে হৃদম কমিউনিটি সেন্টারে ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ইলেকশন না হলে আগের মত সিলেকশন হয়ে যেত। এই সিলেকশন থেকে দেশকে বাঁচান। হোসিয়ারি সমিতি একসময় পুরো বাংলাদেশের জন্য ছিল। এর মর্যাদা বিকেএমইএ'র চেয়েও বেশি ছিল। বিকেএমইএ'র ফলে হোসিয়ারি সমিতির গুরুত্ব কমে গেছে। হোসিয়ারি সমিতি আরও সমৃদ্ধ হবে এটাই আমি কামনা করছি। আমি ভোটারদের বলব যারা সৎ, দক্ষ ও যোগ্য তাদের বিজয়ী করতে আপনারা ভোট দিবেন। যাকে ভোট দিবেন তাদের সততা যোগ্যতা ও দক্ষতা বিবেচনা করে দিবেন। আমি আশা করছি এ প্যানেলকে বিজয়ী করলে হোসিয়ারী সমিতির উপকার হবে। হুমায়ুন সাহেব বলেছেন, হোসিয়ারি সমিতিতে চাঁদাবাজি হবে না। কেউ চাঁদা চাইলে তাদের বেঁধে রাখবেন। আপনারা কেউ চাঁদা দিবেন না। প্রয়োজনে গরীব মানুষদের সাহায্য করুন। আমি খুশি হয়েছি মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপু বলেছে, কেউ চাঁদা দিবে না। কেউ জোর খাটালে, সন্ত্রাস করলে তাদের বেঁধে পুলিশকে খবর দিবেন।
মহানগর বিএনপি আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, পারিবারিকভাবে এই হোসিয়ারি শিল্পতে আমি জড়িত। ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে মসজিদ কমিটি পর্যন্ত একটি পরিবার নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন। গণতন্ত্র চর্চা মাধ্যমে সকল সংগঠন গণতন্ত্র পরিবেশ তৈরিতে ব্যবস্থা করেছি। নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে হোসিয়ারি শিল্প সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। একটি পরিবার থেকে হোসিয়ারি সমিতি নিয়ন্ত্রণ করা হত। ওই সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের কথা ব্যতিত্ব হোসিয়ারি কমিটি গঠন করতে পারতো না। তাদের ইচ্ছায় হোসিয়ারি সমিতি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপি কেউ বলেনি, ওনাকে তাকে ভোট দিতে হবে এমন নিদের্শনা দেয়নি। হোসিয়ারি সমিতিতে সিলেকশনের চেষ্টা করা হয়েছিলো, আমরা সেই সিলেকশনে বদলের ইলেকশনের ব্যবস্থা করেছি।
স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্রার্থী ফতেহ আলী রেজা রিপন বলেছেন, ভোটে যদি কোন ভোটারকে ন‚ন্য ভয় দেখায় তাহলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে ছেড়ে দিবো। আপনার ভোট আপনি দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন।
আপনার মতামত লিখুন :