রোজার আগে সারাদেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জেও এই সমাবেশের অংশ হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। সমাবেশের প্রতিপাদ্য হিসেবে দ্রব্যমূল্য কমানো, নির্বাচন ও দেশে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবী জানাবে। মূলত এর মাধ্যমে রোজার আগেই নিজেদের ঝালিয়ে নিবে বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি।
বিএনপি নেতারা জানান, রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ফেব্রুয়ারি মাসে এই কর্মসূচি পালিত হতে যাচ্ছে। প্রথমে নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং পরে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হবে। দেশব্যাপী সমাবেশের মাধ্যমে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের যুক্ত করা হবে। এই সমাবেশ দলকে সুসংগঠিত করারও একটি বার্তা দেয়।
সমাবেশের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, দেশে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের কথা বলবে। দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখা, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং দেশে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা দ্রæত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য বিএনপি সমাবেশ করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারকে বার্তা দেয়া হবে যে মানুষ দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ চায় এবং নির্বাচনের দিকে মুখিয়ে আছে সবাই।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন সরকারকে। তার আগে মাঠ পর্যায়ে বিএনপির তৃণমূলকে সুসংহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে দলের ভেতর বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, বিতর্ক, সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অভ্যন্তরীন ঐক্যে ফাটল ধরেছে। সমাবেশের মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরিন ঐক্য জোড়ালো হবে। একই সাথে জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থানও প্রকাশ পাবে। সমাবেশে মির্জা আব্বাস সাহেবের পাশাপাশি
দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে জ্যেষ্ঠ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ফলে জেলা পর্যায়ে দলীয় অবস্থান ঝালাই হবে ভালোভাবেই।
জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থাকলেও দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করছে। মাত্র ৬ মাস যেতে না যেতেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা, ঝটিকা মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করেছে। এর পেছনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনের দায় রয়েছে। তাদের উদাসীনতার কারণেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে না পারা বর্তমান সরকারের চরম ব্যর্থতা। তাই আমরা মনে করি দ্রুত সরকারকে চাপ দিয়ে তাদের সঠিক পথে থাকতে বাধ্য করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :