নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং সাবেক প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ৮ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনদিন করে ৬ দিন এবং একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় ২ দিন সহ মোট ৮ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিলন হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নুসরাত সাহারা বীথি উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ৩ দিনের দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
একই আদালতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সৈয়দ মোস্তফা কামাল হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। একই আদালতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হাফেজ মো. হোসাইন আহম্মেদ ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে শুনানী শেষে ২ দিনের রিমাাণ্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মো. নাজমুল হাসান হত্যাচেষ্টা মামলায় মতিউর রহমান মতি ও তার ছেলে বাবুইকে ১ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়। সেই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ছায়েদুর হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে মতিকে আদালতে উঠানো হলে শুনানী শেষে আদালত ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
তার আগে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় ২ দিন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক একটি হত্যা ও একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় ৩ দিন ও ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও তার ছেলে বাবইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৩ জানুয়ারী ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মতিউর রহমান মতি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ৬ নম্বর ওয়াডেৃর মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। মতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়কও। সেই সাথে তিনি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যিনি গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার ছাড়ার পর তিনি নারায়ণগঞ্জ ছেড়েছেন।
এর আগে একটি দুর্নীতি মামলায় কারাভোগ করেন মতি। আওয়ামী লীগের পতনের পূর্বেও মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে ৬ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারাভোগ করলেও তারও পূর্বে এই মতির বিরুদ্ধে ছিলো মামলা ও সাজা।
উল্লেখিত হিসাব ছাড়াও মতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৪২৪ টাকা জমা করে তার থেকে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৯ টাকা উত্তোলন করে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অবস্থান গোপন করারও অভিযোগ ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :