News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থ হয়ে শত্রুতা

হত্যা মামলা নিয়ে ফায়দা লুটছেন রিয়াদ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ১০:০৮ পিএম হত্যা মামলা নিয়ে ফায়দা লুটছেন রিয়াদ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আকতার হোসেন ও সুমন হোসেনকে আসামী করার পেছনে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরীকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

বিবাদীদের কয়েকজনের দাবী, এলাকার প্রভাব বিস্তারের জের ধরেই কয়েকজনের নাম দেওয়া হয়েছে যার পেছনে রিয়াদ চৌধুরীর প্রত্যক্ষ ও পুরোক্ষ ইন্ধন থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধের ব্যানারে মিছিল করতে গিয়ে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর গ্রুপের সঙ্গে বারী ভূইয়ার গ্রুপের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হোন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ অন্তত ২০ জন। এসময় হোসাইন টেক্সটাইলে সশস্ত্র হামলা করেন রিয়াদের লোকজন। ওই ঘটনায় মূলত আকতার ও সুমনের লোকজন বারী ভূইয়ার অনুসারীদের পক্ষে ছিলেন।

এ অবস্থায় গত ৭ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন রিয়াদ। পরিবারের লোকজন শুরুতে অজ্ঞাতদের দায়ী করে বক্তব্য দেন। নিহতের ভাই সহ পরিবারের স্বজনেরা দাবী করেন, সিসি টিভি ফুটেজে দেখেছেন ২জন মুখোশধারী দৌড়ে এসেছিল। গুলির শব্দের পর দুইজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু মামলার বাদী ১৩ জনের নাম উল্লেখ করেন।

এখানে ২ নাম্বার আসামী করা হয়েছে সুমন হোসেনকে। তিনি দাবী করেন, ঘটনার আগের দিন ৬ ফেব্রুয়ারী তিনি চাঁদপুরে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান। সেখানে একটি ওয়াজ মাহফিলে তিনি ছিলেন দাবী করেন। জানান তিনি যে সেখানে সকল প্রোগ্রামে ছিলেন সেটার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ তাঁর নিকট সংরক্ষিত আছে।

উদ্দেশ্য প্রণেদিতভাবেই রিয়াদ চৌধুরী আমাকে আসামী করেন দাবী করেন সুমন।

মালয়েশিয়াতে থাকা আকতার হোসেন জানান, মামলাটিতে গোজামিল আছে প্রচুর। কারণ বলা হয়েছে আমার নির্দেশে ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতপক্ষে আমি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে। তাছাড়া গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে সিসি টিভির ফুটেজ। সেখানে স্পষ্ট দেখা গেছে ২জন দৌড়ে এসেছে। আবার বাদী বলছেন আমি আকতার ছাড়া বাকি ১২জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সিসি টিভিতে স্পষ্ট ২জনকেই দেখা যায়। বিষয়টি তো এখানেই গোজামিলের।

আকতার আরো জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে অনবরত রিয়াদ আমার ও আমাদের পরিবারকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। কিন্তু সে একাধিকবার আমাদের বাড়িতে ও কারখানায় এসেছে। তার সকল ফুটেজ আমার কাছে আছে।

‘আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিবে আবার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবে এটা তো ডুয়েল গেম’ দাবী করে আকতার বলেন, মূলত এলাকার কয়েকটি কারখানার ঝুট নিয়ে রিয়াদের মাথাব্যাথা। সে চায় তার লোকজন নিয়ে এগুলো নামাতে। কিন্তু মালিক তাকে দিচ্ছে না। এটার দায়ভার আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় রিয়াদ এখন ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ ঘটনার পর বিভিন্ন টিভিতে আমি ফুটেজে দেখেছে নিহতের বড় ভাই ও আত্মীয় স্বজনেরা বলছেন তারা কাউকে দেখেনি। সিসি টিভি ফুজেটে দেখা যাচ্ছে ২জনকে। কিন্তু মামলার আসামী হয়ে গেলাম আমি ও আমার বাই সহ ১৩ জন। এখন আমাদের বাইরে রাখতে পারলে রিয়াদের ঝুট দখল সহজতর হবে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান আকতার ও সুমন।

নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের দাবি, আক্তার ও সুমনের পরিকল্পনায় এবং নির্দেশে তাদের বাহিনীর কিলাররা মামুনকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ডান চোখে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ইয়াসমিন নিজেই কিছুটা দূর থেকে দেখেছেন। গুলির পর স্বামীর চিৎকার শুনে কাছে এসে সুমনকে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখেছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, আকতারকে প্রধান আসামি করে নিহত মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। খুনিরা যত বড় প্রভাবশালী হোক না করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Islam's Group