বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে নির্বাচনের শেষ প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৩৩জন প্রার্থী। দুই প্যানেলের পরিচিতি সভায় মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ওয়াদা ও আশ্বাস দিয়েছেন প্যানেল প্রধানরা। এতে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্রার্থীদের পক্ষে এক মঞ্চে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, ফতুল্লা থানা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ।
ওই সভাতে বদু প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। এ সময় বদু প্যানেলকে ইঙ্গিত করে তারা বলেন- সিলেকশন বদলে ইলেকশনের ব্যবস্থা করেছে। বিএনপি নেতাদের এমন মুখে ভাষ্য হোসিয়ারি মালিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপি যুবদলের রাজনীতি থেকে নাকের খর দিয়ে ছেড়ে আসা বদিউজ্জামান বদু বিরুদ্ধে চটেছেন বিএনপি নেতারা।
নারায়ণগঞ্জে ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির সরকার ক্ষমতা থাকাকালে বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচনে ভাটা পড়ে। ওই সময় একটি পরিবারের নিদের্শনায় হোসিয়ারি সমিতির পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হত। এতে ফতুল্লার বিসিক, বন্দরে শান্তিরচর ও রূপগঞ্জের পূর্বাচরে হোসিয়ারী সমিতির বরাদ্ধ জমি নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠে বিগত কমিটির বিরুদ্ধে। এগুলো পুনরুদ্ধার করার আশ্বাস ও ওয়াদা দিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা।
বদিউজ্জামান বদু বলেছেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে আমাদের নির্বাচনে প্রার্থীতা হতে দেয়া হয়নি। কয়েকজনকে প্রার্থী করলেও অদৃর্শ্য কারণে তাদের বিজয়ী ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। একটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকা হোসিয়ারি সমিতি এখন অবমুক্ত হয়েছে। যে কারণে আবারো হোসিয়ারি সমিতিকে মালিকদের কল্যাণে নিয়ে যেতে প্যানেল দিয়েছি। হোসিয়ারি মালিকরা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে পরিচালক নির্বাচিত করবেন।
এদিকে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্রার্থী ফতেহ আলী রেজা রিপন বলেছেন, ভোটে যদি কোন ভোটারকে নূন্য ভয় দেখায় তাহলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে ছেড়ে দিবো। আপনার ভোট আপনি দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন। অনেকে ঝুট সন্ত্রাসী লিপ্ত, নয়ামাটি রহমান গার্মেন্টসের ঝুট ছিনতাই করে। কারা এই সন্ত্রাস করছেন জানেন, যারা এখন নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন। তাদেরকে কি আমরা নির্বাচিত করবো। রহমান গার্মেন্টস মত ঝুট ছিনতাই করে তাদের নেতৃত্ব কি আপনাদের পছন্দ। প্রতিপক্ষ নেতা বলেছেন, তিনি না থাকলে নয়ামাটি ধ্বংস হয়ে যেত। বাস্তব চিত্র ঝুট সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। কিছু হলেই আমাদের প্রতিপক্ষ দৌড়ে চলে যায়। তাহলে কেনো বার বার চুরি ছিনতাই চাঁদাবাজি হচ্ছে, তাহলে আমরা কি বুঝবো। মার্কেট ভিত্তি কমিটি মাধ্যমে শালিসী ও মার্কেট নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকবে, হোসিয়ারি সমিতি আপনাদের পাশে থাকবে। অনেকে বিচার শালিসী মাধ্যমে নিজেরা ধান্ধাবাজিতে লিপ্ত রয়েছেন।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ফ্যাসিবাদিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত সংগঠনগুলোতে সিলেকশন করতে চায়। তখনই আমাদের কাছে এসে ছিলো রেজা রিপন ও আওলাদরা। যারা বিএনপি করবে না বলেছিলো, তারা আজ বড় বড় কথা বলছে। ১৬ বছরের যারা ঘরে থাকতে পারেনি তাদের নব্য বলেছে। নির্বাচন কমিশনারে কাছে বিভিন্ন অযুহাত তুলে হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ভোট গ্রহণে ব্যবস্থা করেছে। কোন চক্ষু রাক্ষুনি দেখাবেন না, আমরা কারো কাছে মাথানত করি না। মালিকরাই তাদের ভোটে তাদের নেতা নিবাচিত করবেন, কারো প্রভাব চলবে না। আপনার কারো কাছে মাথানত হবো না।
আপনার মতামত লিখুন :