বন্দরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর গরু ও জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনী বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মুন্না(৩০) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী মুন্না বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকার আবুল কালাম ওরফে মুইচ্ছা কালাম মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বন্দর উপজেলার মদনপুর হেদায়তপাড়া এলাকায় এ লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হামলাকারীরা তিনটি গরু ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সেলিম আহামেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীর প্রধান সোহেল সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো, সোহেল(৩২) দিপু (৩১), অপু (২৯), মুন্না (৩০),ফয়সাল (২৫), রাজিব(২৮), শাহজালাল ভূইয়া ওরফে ভাল্লুক (৩২), রাসেল (৩৫), মামুন (৩৫), রেজাউল (৩৮), সজিব (২৫) ও সুমন ওরফে কালু (২৮)।
জানাগেছে, উপজেলা মদনপুর ইউপির হেদায়তপাড়া এলাকার মৃত তোতা মাতবরের ছেলে ব্যবসায়ী সেলিম আহম্মেদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল একই এলাকার সন্ত্রাসী সোহেল ও দীপু এবং তাদের বাহিনীর লোকজন। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মদনপুর মৌজাস্থ ব্যবসায়ী সেলিমের মালিকানাধীন ৪৫ শতাংশ নাল জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার সকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তিনটি গরু সহ ব্যাপক লুটপাট করে নিয়ে যায়। এখবর পেয়ে রোববার বিকালে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মুন্না নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, মদনপুরের এক ব্যবসায়ীর মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :